চাকুরীর কারণে রূপগঞ্জ থেকে ঢাকার রামপুরায় আসার আগে ভাবলাম, করোনা টেস্ট করিয়ে তারপর যাই। সেখানে বাবা, মা, ভাইয়েরা থাকে। ওখানে আমার একটি রুম আগে থেকেই খালি পড়ে আছে। টেস্ট করাতে চাওয়ার কারণ হলো, যদি সেখানে গিয়ে লোকজনের বা পরিবারের সদস্যদের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হই। তাই এ মাসের ৮ তারিখে ৩৩৩ অর্থাৎ করোনা হেল্পলাইনে কল দিলাম, রূপগঞ্জে ঠিক কোথায় টেস্ট করায় সেটা জানতে। টিভির সংবাদে দেখেছিলাম, ৩০ এপ্রিল তারিখে রূপগঞ্জের কাঞ্চনে নাকি এলাকার এমপি বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাজী সাহেব নিজ খরচে টেস্টিং ল্যাব বসিয়েছেন। এছাড়া ধারণা ছিল, ইউএস বাংলা হাসপাতালেও টেস্টটা করায়। কারণ এ হাসপাতালের নামও টিভিতে শুনেছিলাম। প্রকৃত সত্য হলো, রূপগঞ্জে করোনা টেস্ট করায়, তবে সেজন্য ইউএস বাংলা হাসপাতালে বা কাঞ্চনের ল্যাবে যাওয়ার দরকার নেই। যেতে হবে রূপগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, যেটা রূপগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের খুব কাছে সাবাসপুর নামক এলাকায় অবস্থিত। এখান থেকে রক্তের স্যাম্পল নিয়ে কাঞ্চনের ল্যাবে পাঠায় পরীক্ষার জন্য। এজন্য কোনো টাকা লাগে না। তবে রূপগঞ্জের বাইরের লোক এখানে ফ্রি টেস্ট করাতে পারবে কিনা জানি না। অথচ সরকারের করোনা বিষয়ক হেল্পলাইন ৩৩৩ এর জনৈক ডাক্তার আমাকে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারলেন না। তিনি আমাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল বা মুগদা হাসপাতালে যেতে বললেন।
আমার কথাগুলো বিশ্বাস না হলে নিম্নোক্ত কল রেকর্ডিংটি শুনুন।
এছাড়া গণমাধ্যমগুলোও সঠিক তথ্য দিতে পারছে না। জাগো নিউজ ২৪ এর নিম্নোক্ত খবরটি দেখুন। এখানে বলা আছে, ইউ এস বাংলা হাসপাতালে নাকি করোনা টেস্ট হয়। আদৌ ব্যাপারটা তা নয়; সত্য ঘটনা হলো – কাঞ্চনে যে ল্যাব আছে, সেখানে টেস্টিং কার্যক্রম পরিচালনা করে ইউ এস বাংলার কর্মীরা।
যে ল্যাবগুলোতে করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন