বাংলাদেশ থেকে ১৯ ক্যাটাগরিতে কর্মী পাঠানো হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
দুই দেশের সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী আগামী ৩ মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সোমবার দুপুরে প্রবাসীকল্যাণ ভবনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানব সম্পদ ও এমিরাটাইজেশন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধায়নে কর্মী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান,‘তদবির সেন্টার’ অর্থাৎ ‘ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের’ মাধ্যমে বাংলাদেশের কর্মীদের নিয়োগ করবে। ‘তদবির সেন্টারটি’ সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের মানব সম্পদ ও এমিরাটাইজেশন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে সরাসরি কাজ করবে। এ ব্যাপারে একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে পরবর্তী কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে এবং কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে কাউকে কোন টাকা ব্যয় করতে হবে না বলে মন্ত্রী জানান।
যে ১৯ টি ক্যাটাগরির নেয়া হবে তাদের মধ্যে রয়েছেন, হাউজমেইড, প্রাইভেট সেইলর, ওয়াচম্যান অ্যান্ড সিকিউরিটি গার্ড, হাউজ হোল্ড শেফার্ড, ফ্যামিলি সোফিউর, পার্কিং ভ্যালেট ওয়ার্কার্স, হাউজহোল্ড হোর্স গ্রুমার, হাউজ ফ্যালকন কেয়ারটেকার অ্যান্ড ট্রেইনার, ডোমেসটিক লেবারার, হাউজ কিপার, প্রাইভেট কোচ, প্রাইভেট টিচার, বেবি সিটার, হাউজহোল্ড ফার্মার, গার্ডেনার, প্রাইভেট নার্স, প্রাইভেট পিআরও, প্রাইভেট এগরিকালচার ইঞ্জিনিয়ার ও কুক।
মন্ত্রী বলেন, খুব শিগগিরই সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে কর্মী নিয়োগের সব সব বাধা দূর হয়ে যাবে। শ্রমিকদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে বড় শ্রম বাজার খুলছে না। বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বর্তমানে এক হাজার শ্রমিক দেশটির কারাগারে আটক রয়েছে। অপরাধের কারণেই আমরা ওই দেশে শ্রমিক প্রেরণে পিছিয়ে আছি।
আমিরাতে যাওয়ার জন্য কেউ যেন কাউকে কোন টাকা না দেন সেজন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি। বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতকে ‘থ্রাস্ট সেক্টর’ হিসেবে ঘোষণা করায় এবং এসডিজি বাস্তবায়নে এই খাত বিরাট অবদান রাখবে। ২০১৭ সালে রেকর্ডসংখ্যক ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ফলশ্রুতিতে ধারাবাহিকতায় বিশ্বের ১৬৫টি দেশে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ বাংলাদেশী কর্মী কর্মরত আছে। এসময় ১৩ হাজার ৫২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে।
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৩ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৭জন বাংলাদেশী কর্মী কর্মরাত আছেন। চলতি বছর ৬০৫ জন কর্মী গেছেন। ২০১৭ সালে গেছেন ৪ হাজার ১৩৫ জন কর্মী।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানব সম্পদ এবং এমিরাটাইজেশন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী নাসের আল হামলির উপস্থিতিতে বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার এনডিসি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানব সম্পদ ও এমিরাটাইজেশন মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি সাইফ আহমেদ আল সুআইদি স্ব স্ব দেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করেন।