১. অনেকেই আছেন হয়তো করোনার উপসর্গ প্রকাশ পায় নি। তাই নিজের করোনা হয়েছে ধরে নিয়ে খাবারে মশলা কম খাবেন। প্লাস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য খাবারে কম তেল খান, চিনি ও লবণযুক্ত খাবার পরিহার করুন। যেমনঃ চিপস হলো একটি লবণযুক্ত খাবার। জেনে নিন, সবরকম মুখরোচক খাবারে তেল, চিনি, লবণ বেশি ব্যবহার করা হয়। এ বিষয়ে একটি গ্রহণযোগ্য যুক্তি হলো – তরকারীতে তো যথেষ্ট লবণ দেয়া হয়ই, তাই পাতে আলাদাভাবে লবণ নেয়ার দরকার নেই।
২. জনগণ সরকারের লকডাউনের নিয়ম মানছে না, সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়মনীতির প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা দেখাচ্ছে না। এর কারণ হলো – এ সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে জনগণ পরস্পরকে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা করতে পারে না, যার পারফেক্ট উদাহরণ হলো বাংলাদেশ।
৩. ঈদ উপলক্ষ্যে প্রাইভেট কারে করে লোকজন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যেতে পারবে – বিষয়টি আমার কাছে সুবিধার মনে হয় নি। এসব সিদ্ধান্তের ফলে সরকার ও সামর্থ্যবানদের প্রতি সামর্থ্যহীনদের ঘৃণা আরো বাড়বে।
৪. ‘মুভমেন্ট পাস’ -এর ব্যাপারে জানেন তো? আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সরকার এমন এক ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে, যেখানে ঘর থেকে বের হতে হলে জনগণকে প্রথমে ইন্টারনেটে যথোপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আবেদন করে অনুমতি নিতে হবে, যার কনফার্মেশন এসএমএস মোবাইলে যাবে। যাওয়া ও ফিরে আসা – এ দু’য়ের জন্য আলাদা আলাদা পাস লাগবে। এ ব্যবস্থা কতটুকু কার্যকর হবে বলে মনে হয় আপনার, কমেন্টে জানান। সকল জনগণের কি ইন্টারনেট অ্যাক্সেস আছে? – কেবল এতটুকু চিন্তা করুন।
৫. করোনা ভাইরাস বা কোভিড নিয়ে এত আতংকের কী আছে? অামার তো মনে হয়, লকডাউনের আগে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় এর চেয়ে অনেক বেশি লোক মারা যেত। এইডসকে খুব ভয়ংকর মনে করা হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি, এইডসের চেয়ে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে পৃথিবীতে অনেক বেশি লোক মারা যাচ্ছে? তাই করোনা নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করে নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে ফেলবেন না। জাস্ট আপনি সাধ্যমতো চেষ্টা করুন করোনা হতে দূরে থাকতে। ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধোবেন; দরজার হাতল, মেঝে জীবাণুমুক্ত রাখবেন। সামাজিক সংশ্রব কমান, বিনা দরকারে কাউকে স্পর্শ করবেন না; যখন-তখন নাকে, মুখে, চোখে হাত দিবেন না। আর করোনা যদি হয়েই যায়, তাহলে তা আপনার নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর ছেড়ে দিন। অর্থাৎ ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিন; ধরে নিন, যা হবার তা হবেই। তবে ভেঙে পড়বেন না, বা বিমর্ষ হয়ে থাকবেন না কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনের সময়; উৎফুল্ল থাকুন। ধরে নিন, আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন বা সুস্থ আপনাকে হতে হবেই। অনেকে হয়তো আপনাকে কেবল ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করতে বলবে এসময় (পাছে কখন মারা যান!)। তবে আমার পরামর্শ হলো – রোগের লক্ষণ খুব তীব্র না হলে এসময়টা বিনোদনে নিমজ্জিত হয়ে কাটান। যেমনঃ কমেডি শো দেখুন – মিস্টার বিন, চার্লি চাপলিন এর শো অথবা মোশাররফ করিমের কমেডি নাটকগুলো দেখুন। তবে একটি বিষয় হলো – এসময় আপনার কাছ থেকে যাতে অন্যরা সংক্রমিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। নিজ পরিবার থেকে শুরু করে জনগণকে তো সবারই ভালোবাসা উচিত, তাই না?
৬. আমার মনে হয়, সরকার ঘাড়ত্যাড়ামি করে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ না করলেই পারতো। যদিও আমি অর্থনীতি খুব বেশি বুঝি না, তবে এতটুকু আন্দাজ করি – এ সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করতে গিয়ে সরকার নিজেকে ও জনগণকে অকল্পনীয় অর্থের ঋণে জর্জরিত করেছে। সম্ভবতঃ নিজেদের দুর্নীতিকে অস্বীকার করতে গিয়ে সরকার এ ঢেঁকি গেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার অলরেডি এতখানি ঋণ করে না থাকলে, করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন খাতে অনায়াসে প্রণোদনা দিয়ে অর্থনীতিকে কিছুটা পুনরুদ্ধার বা সচল রাখার চেষ্টা করতে পারতো। এখন ডাকসাইটে অর্থনীতিবিদরাই বলছেন, ব্যাংকে যথেষ্ট টাকা নেই সরকারকে ঋণ দেয়ার মতো। তাহলে বুঝুন অবস্থা!
৭. ত্রাণ ও সাহায্য দেয়ার সময় গরীব জনগণের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয় না কেন? এ ব্যাপারে ত্রাণ দানকারী পার্টিকে সচেতন হতে হবে। আর ত্রাণ দানের সময় এতো ফটোসেশনের কী দরকার? ২০-৩০ জন লোক মিলে গাদাগাদি করে ফটো তোলার দরকার কী?
https://www.youtube.com/watch?v=y-B-NCkedbc