এখন বেশিরভাগ কর্মীই বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবে ফ্যান, বাতি, এসি, কম্পিউটার বেশি সময় ধরে চলছে। এদিকে বাড়ির সব সদস্য বাড়িতেই থাকার কারণে বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। আবার বাইরে খাওয়া বন্ধ, তিনবেলা খাবারের সঙ্গে সকাল-বিকাল চা-নাস্তা খাওয়া। গ্যাস তো বেশি খরচ হবেই।
ইচ্ছে থাক বা না থাক, আমাদের সবাইকেই খরচ কমানোর অভ্যাস তৈরি করতে হবে খুব সচেতনভাবেই। চাকরির বাজারের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে, তাই আগামী কঠিন সময়ের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করা উচিত। কিন্তু তার চেয়েও বড় সত্যিটা হচ্ছে যে সাম্প্রতিক আমফান ঘূর্ণিঝড় কেড়ে নিয়েছে অজস্র বড় গাছ, যার ফলে বিপুল অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় যেকোনো এনার্জি ব্যবহারের আগেই আমাদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
গ্যাস বাঁচানোর ক্ষেত্রে আপনার সবচেয়ে বড় বন্ধু হতে পারে প্রেশার কুকার। যেকোনো রান্না ভালো করে কষে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে নিন। লাউ, পেঁপে, বাঁধাকপির মতো সবজি সেদ্ধ হতে সময় লাগে বেশি। সামান্য লবণ দিয়ে তা প্রেশার কুকারে ভাপিয়ে নিয়ে রান্না করুন।
চাল বা ডাল রান্নার আগে বেশ অনেকক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। রান্নার আগে পানি ফেলে দেবেন। প্রেশারে দিয়ে সেদ্ধ করা যায় দুটোই। তাতে গ্যাস বাঁচে।
যদি প্রেশারে রান্না করা ভাত না সহ্য হলে একটা কাজ করুন। টগবগে গরম পানিতে চাল ছাড়ুন, ভাত দু’বার ফুটে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। আধ ঘণ্টা পর দেখুন, চাল অনেকটা নরম হয়ে যাবে। তখন আর একবার ফুটিয়ে নিলেই হবে।
বার বার চা করতে হয়? তাহলে চায়ের পানি ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে ফ্লাস্কে ভরে রেখে দিন। চা বানানোর আগে আর একবার গরম করে নিলেই হবে! বাসন ধুয়ে শুকনো করে গ্যাসে বসান। না হলে বাসনের পানি শুকাতেও এনার্জি পোড়ে।
রান্নায় একগাদা পানি দেবেন না, আর রান্না বসানোর আগে হাতের কাছে সব জোগাড় রাখুন। রাঁধতে বসে কড়া জ্বলে যাচ্ছে, অথচ মশলা বাটা বা সবজি কাটা নেই- এরকম যেন না হয়। কম আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। তাতে গ্যাস বাঁচে, রান্নায় পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।
যখন যে গ্যাজেট ব্যবহার হচ্ছে না, তখন সেটি পুরোপুরি সুইচ অফ করে রাখুন। ইলেকট্রিসিটি বাঁচানোর সবচেয়ে সহজ উপায় সেটাই। রিমোট সুইচ দিয়ে টিভি বা এসি অফ করলেও কিন্তু বিদ্যুৎ পোড়ে।
পুরো ঘরে চড়া আলো না লাগিয়ে টেবল ল্যাম্পের ব্যবহার বাড়ান। ল্যাপটপ বা রিডিং টেবলের সামনে ভালো সিএফএল বালব দেয়া ল্যাম্প লাগিয়ে নিন।