ফেসবুকে যে বিষয়গুলো পোস্ট করবেন না

ফেসবুকে কত কিছুই না পোস্ট করেন প্রতিদিন। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন পোস্টের প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা কখনই ফেসবুকে পোস্ট করতে নেই। এতে আপনার ব্যক্তিগত স্বার্থ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

১. আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তথ্যগুলো ফেসবুকে প্রকাশ করবেন না। ব্যক্তিগত তথ্য বলতে বাড়ির ঠিকানা, নিজের টেলিফোন নম্বর, জন্ম তারিখ কিংবা এমন তথ্য যা অপরাধীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

২. পাসওয়ার্ড নিয়ে মজা করবেন না। ফেসবুকে কী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছেন এ সংক্রান্ত সূত্র তুলে ধরবেন না। পাসওয়ার্ড এমনিতেই অতিগোপনে রাখতে হয়। এটি চুরি হলে বিপদ ঘটে যেতে পারে।

৩. আপনি এই মুহূর্তে কোথায় আছেন তা ফেসবুকে জানান দিতে নেই। কারো সঙ্গে দেখা করতে হলে এখন কোথায় আছেন তা বলার অনেক উপায় আছে। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তো সবাইকে বলার দরকার পড়ে না। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।

৪. ভ্রমণে যাচ্ছেন? এর পরিকল্পনার কথা ফেসবুকে বলতে যাবেন না। এটা হোক নিজের দেশে কিংবা বিদেশে। কেউ সঙ্গে গেলে তার সঙ্গেই পরিকল্পনা করুন। ফেসবুকে অপরাধীদের আনাগোনা বিষয়ে আপনার কোনো ধারণাই নেই।

৫. অনেকেই মানুষের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য এমন সব পোস্ট দেন যা আসলে বিরক্তিকর। সবাই বোঝেন যে আপনি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন। এর জন্যে অনেকে অস্বস্তিকর ও আপত্তিকর পোস্টও দিয়ে থাকেন। এতে মূলত আপনার সুনাম ক্ষুণ্ন হবে।



৬. আপনার জীবনে এই মুহূর্তে কী ঘটে যাচ্ছে আর কী ঘটেছে তা নিয়ে তথ্য প্রকাশ করবেন না ফেসবুকে। যাদের জানাতে চান তাদেরকে ব্যক্তিগত উপায়ে বলুন।

৭. অস্বস্তিকর ছবি দেবেন না। বন্ধুদের সঙ্গে কোনো গোপন পার্টির আজে-বাজে ছবি ফেসবুকে দেবেন না।

৮. যে ছবিগুলো আপনি গোপনে রাখতে চান সেগুলো বোকার মতো ফেসবুকে দেবেন না। এসব ছবি একান্তই থাক।

৯. যেখানে চাকরি করছেন তা নিয়ে আপনার অনেক অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু এসব নিয়ে কথা-বার্তা ফেসবুকে দেবেন না। স্যোশাল মিডিয়ার যুগে অফিস কর্মীদের ফেসবুক পর্যবেক্ষণ করে। কাজেই বিপদে পড়বেন।

১০. অন্যদের খবর আপনার প্রচারের দরকার নেই। যেমন- কোনো বন্ধু প্রেমে পড়েছেন কিংবা বিয়ে করতে যাচ্ছেন ইত্যাদি। এতে আপনার কোনো ঝামেলা না হলেও তাদের সমস্যা হতে পারে। হয়তো তাদের নিজস্ব কোনো পরিকল্পনা আছে।

১১. উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং উস্কানিমূলক রাজনৈতিক পোস্ট কখনো ফেসবুকে দেবেন না।

১২. অস্বস্তিকর ও আপত্তিকর কৌতুক বা মন্তব্য করবেন না। এতে আপনার ব্যক্তিত্বের নেতিবাচক দিকগুলো একেক মানুষের কাছে একেকভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.