নটর ডেম মানে যুক্তরাষ্ট্রের নটর ডেম ইউনিভার্সিটি নয়, সেটা হলো বাংলাদেশের মতিঝিলে অবস্থিত নটর ডেম কলেজ। আমি এই কলেজে ঢুকেছিলাম ১৯৯৭ সালের আগস্ট মাসে, আমাদের সময় প্রিন্সিপাল ছিলেন ফাদার পিশোতো এবং তখন ময়মনসিংহের ব্র্যাঞ্চ ছিল না। কলেজ হিসেবে নটর ডেমকে ভালো না খারাপ বলবো, সেটা আজও বুঝে উঠতে পারি নি। আপাতদৃষ্টিতে ভালো হলেও খারাপ এই অর্থে যে, পাঠ্যপুস্তকের সবকিছুই পড়ায়, এতে শিক্ষার্থীদের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। যাই হোক, আজকের এই পোস্টে কলেজকে as a whole জাস্টিফাই করবো না, কেবল কলেজের কয়েকজন টিচারের আচরণ, কর্মকাণ্ড ও মানসিকতার সমালোচনা করবো। জানি, পৃথিবীতে কেউই পারফেক্ট নয়, কিন্তু কেউ ফাউল করে থাকলে সে অন্যায়ের প্রতিবাদ তো করতে হবে, তাই না? এমনিতেই, সমাজে যারা অলরেডি প্রতিষ্ঠিত তাঁদের বিরুদ্ধে লোকজন মুখ খুলতে চায় না, ফলে এদের মধ্যে খারাপ প্রকৃতির যারা আছেন, তাঁরা তাঁদের অপকর্মগুলো দেদারসে চালিয়ে যেতে থাকেন – এটা মেনে নেয়া যায় না।
নটর ডেমে আমি যেসব টিচারের ক্লাস পেয়েছি, তাঁদের মধ্যে নিম্নোক্তগণের বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ মারা গেছেন কিনা, বা রিটায়ার করেছেন কিনা সেটা আমার বিবেচ্য বিষয় নয়। যদিও আমি মুসলিম নই (নাস্তিক), তবু ইসলামী কিছু নিয়মকানুন আমি পছন্দ করি এবং মেনে চলার চেষ্টা করি। যেমনঃ হযরত ওমর (রাঃ) তাঁর পুত্রকে শাস্তি দিয়েছিলেন, শাস্তি পুরোপুরি শেষ হবার আগেই সে মারা গেলে বাকি দোররাগুলো তার কবরে মারা হয়। সো, যেসব টিচার ফাউল করেছেন, আজ হোক, কাল হোক তাদের সমালোচনা করতেই হবে এবং তাঁদের অন্যায় কর্মকাণ্ডগুলো সবার সামনে তুলে ধরতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ফাউল করার সাহস না করে।
মুখতার আহমেদ স্যার
এই স্যার ১৯৯৮ সালে গুরুতর অসুস্থ হয়েছিলেন, তাঁর ভাষ্যমতে – বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। নটর ডেমের ছেলেরা টাকা ম্যানেজ করে তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠায় এবং সুস্থ করিয়ে নিয়ে আসে। এটার জন্য তিনি যারপরনাই কৃতজ্ঞ, আমাদের কাছে সেটা স্বীকার করেছিলেন। সুস্থ হয়েই তিনি যে গ্রুপগুলোতে ক্লাস নেয়া শুরু করলেন, তাদের মধ্যে একটি হলো সায়েন্স গ্রুপ ১, আমার গ্রুপ। প্রথম দেখাতে যদিও তাঁকে বদমেজাজী বা গ্রাম্পি মনে হয়েছিল, কিন্তু তিনি কয়েকদিনের মধ্যেই প্রুভ করলেন যে, খুব ভালো লেকচার দিতে পারেন। সেইরকম লেকচার, যেটা নাওয়া-খাওয়া ভুলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শোনা যায়। অন্যান্য ক্লাসমেটদের মতো আমারও খুব ফেবারিট টিচার হয়ে গেলেন তিনি।
তবে প্রথমদিন আমাদের সায়েন্স গ্রুপ ওয়ানে এসে খুব একটা অশ্লীল আচরণ করলেন তিনি। পোলাপান নাকি পরীক্ষার খাতায় বানান ভুল করার কারণে সেগুলো অশ্লীল শব্দ হয়ে যায়। যেমনঃ কেউ কেউ নাকি মধুসূদনকে মধুচোদন লিখে। এরকম একটা অশ্লীল কথা উনি কেন তাঁর প্রথম ক্লাসে বললেন, সেটা হয়তো উনিই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমার এস্টিমেশন হলো, ছাত্রদের কাছে রাতারাতি জনপ্রিয় হবার উদ্দেশ্যে তিনি এটা করে থাকতে পারেন। শুধু আমাদের ক্লাসে নয়, পরবর্তীতে জানতে পেরেছি যে, উনি যে ক্লাসেই যান না কেন, সেখানে তিনি প্রথম দিন ‘মধুচোদন’ ব্যাপারটা মুখে আনবেনই। জনপ্রিয় হবার জন্য নটর ডেমের অন্য কয়েকজন টিচারও ‘শর্টকাট টেকনিক’ ট্রাই করেছেন, তবে সেগুলো অন্য রকম। অন্ততঃ ‘চোদন-পাদান’ টাইপ অশ্লীল শব্দ তাঁরা ব্যবহার করেন নি। বিভিন্ন কিছু বুঝাতে গিয়ে বা বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে মুখতার স্যার প্রায়ই ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা বলতেন, এগুলো ভালো চোখে দেখার কোনো কারণই নেই।
মিজানুর রহমান ভূঁইয়া
নটর ডেমে আমাদের একজন বায়োলজি টিচার ছিলেন মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, যার দেশের বাড়ি বি.বাড়িয়াতে। তিনি একদিন ক্লাসে এক ছেলেকে দাঁড়াতে বললেন এবং তার হোম ডিস্ট্রিক্ট সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। ছেলেটি তখন উত্তরে বললো, কুমিল্লা। এটা শুনে মিজান স্যার অট্টহাসি দিলেন এবং ক্লাসের বাকি সব ছাত্রের (প্রায় ১৪৯ জন) সামনে তাকে ‘কুমিল্লার ইতর’ বলে সম্বোধন করলেন।
এটা ঠিক যে, কুমিল্লার মানুষের আচরণগত কিছু সমস্যা আছে, তাই বলে তাদেরকে সরাসরি ‘ইতর’ সম্বোধন করবে যে, বুঝতে হবে, সে নিজেই বিশাল একটা ইতর। কারণ দেশের কোনো এলাকার মানুষই বলতে পারবে না যে, তাদের কথাবার্তার স্টাইল বা আচরণ পুরোপুরি বিশুদ্ধ। এটা আমার ওপেন চ্যালেঞ্জ দেশের যে কোনো এলাকার মানুষের প্রতি।
তো, মিজান স্যারের এই কাণ্ডের ফলে বুঝতে পারলাম যে, নটর ডেমের টিচার হলেও তাঁর মনমানসিকতায় কিছু বা অনেক সমস্যা আছে। পরবর্তীতে জানতে পারলাম যে, তিনি বি.বাড়িয়ার লোক। আয়রনি হলো এই যে, বি.বাড়িয়া বৃহত্তর কুমিল্লার মধ্যে পড়ে। তাহলে কি মিজান স্যার নিজেই নিজেকে ইতর বলে গালি দিলেন? ওনার বউ নাকি লন্ডন থাকে! আমি জানতে চাই, কোন মুসলমানের বউ স্বামীকে ছেড়ে বছরের পর বছর বিদেশ থাকে?! নিশ্চয়ই ওনার আচরণগত সমস্যার কারণেই বউও ওনাকে ছেড়ে চলে গেছে। আর মিজান স্যারের আরেকটা বিশাল বদঅভ্যাস ছিল এই যে, তিনি ক্লাসে ফাও প্যাচাল পারতেন ৮০% সময়ে, বাকি ২০% সময়ে সত্যিকার পড়াতেন।
গাজী আজমল স্যার
গাজী আজমল স্যারের খ্যাতি দেশজোড়া, কিন্তু কেউ স্বীকার করবে কিনা জানি না, উনিও মিজানুর রহমান ভূঁইয়া স্যারের মতো ফাও প্যাচাল পারতেন বেশি, পড়াতেন কম। আজমল স্যারও ক্লাসের প্রায় ৭০% সময় ফাও প্যাচাল পেরে নষ্ট করতেন। আরেকটা ব্যাপার হলো, উনি বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করতেন, কিন্তু মানুষের বেলায় বিবর্তনবাদ কেন প্রযোজ্য নয় বলে মনে করতেন জানি না। সায়েন্টিফিক মনকে পুরোপুরি সায়েন্টিফিক হতে হয়। কোনো কিছু আধাআধি বিশ্বাস করলে সেটার পুরো ফল পাওয়া যায় না।
অমল কৃষ্ণ বণিক
গাজী আজমল আর মিজান ভূঁইয়ারা যেখানে ক্লাসে ফাও প্যাঁচাল পারতেন বেশি, সেখানে অমল কৃষ্ণ বণিক স্যার ছিলেন খুবই বেরসিক এবং গ্রাম্পি টাইপের। এ ধরনের বৈপরীত্য কলেজ ছাত্রদের তরুণ মনে কেবল বিভ্রান্তি, অবিশ্বাস আর আত্মবিশ্বাসহীনতার যোগান দেয়। আমি বলতে চাচ্ছি, আজমল স্যারদের যেমন বেশি প্যাঁচাল পারা উচিত ছিল না, ঠিক তেমনি অমল কৃষ্ণ বণিক স্যার এতটা গুরুগম্ভীর না হলেও পারতেন।
অমল স্যারের সেটাও না হয় মানা গেল, কিন্তু তিনি আমার ক্লাসমেট নিয়াজ রহমানের সাথে যে আচরণটা করলেন, তাতে তাঁকে আর কখনোই ক্ষমা করা চলে না। নিয়াজ কেবল গ্রুপ ওয়ানের নয়, বরং সমগ্র সায়েন্সের সেরা মেধাবী ছাত্র ছিল, কেউই তার সাথে পেরে উঠছিল না, এমনকি যে ছেলেটি এসএসসিতে দেশসেরা হয়েছিল, সেও।
ঘটনা হলো, একদিন অমল স্যার ক্লাসে লেকচার দিচ্ছিলেন। ফুলের পাঁপড়ির প্রকরণ বুঝাতে তিনি ‘ডিফারেন্সিয়েশন’ শব্দটা উচ্চারণ করলেন। আর এতেই সমগ্র ক্লাস হো হো করে হেসে উঠলো। কারণ একে তো ‘ডিফারেন্সিয়েশন’ নামে ম্যাথে একটা চ্যাপ্টার বা এক ধরনের অঙ্ক আছে, আর দ্বিতীয়তঃ নটর ডেমের ছাত্ররা হলো আঁতেল টাইপের, এরা পড়াশুনা ছাড়া কিছু বোঝে না। কিন্তু বেরসিক স্যার হাসির কারণটা বুঝে উঠতে পারলেন না। নিয়াজ যেহেতু ফর্সা, লম্বা, সুদর্শন ছিল, তাই স্যারের চোখ গিয়ে পড়লো নিয়াজের উপর।
তিনি তাকে দাঁড় করালেন এবং অপমানসূচক লেকচার শুরু করলেন, ‘তোমার পরিবার কি তোমাকে আদব-কায়দা শেখায় নাই? তুমি কোন স্কুলের? তোমার টিচাররা কি আদব-কায়দা শেখায় নাই? তোমার রোল নম্বর কত? ধরে নাও, তোমার সমস্যা হয়ে যাবে।’ হ্যাঁ, সমস্যা হয়েছিল ঠিকই, নিয়াজের মতো ছেলে বায়োলজিতে শুধু লেটার মার্কস কেন, তার ১৯০+ পাওয়ার কথা, আউট অব ২০০। অথচ সে ১৬০ নম্বরও পেল না, কারণ অমল স্যার তাকে প্র্যাকটিকেলে কোনোমতে পাস করিয়েছেন। তখনকার দিনে তিনি ছিলেন বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের হেড, সুতরাং এরকম একটা কাজ করা তাঁর পক্ষে খুবই সম্ভব ছিল। কাজটা উনি ভালো করেন নি, এর জন্য তাঁকে পরকালে শাস্তি পেতে হবে। (ফর ইউর ইনফরমেশন, নিয়াজ পরবর্তীতে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়েছিল। বায়োলজিতে লেটার ছাড়াই সে ঢাকা বোর্ডে ১৬তম প্লেস করেছিল, বায়োলজিতে সঠিক মার্কস পেলে হয়তো ফার্স্ট হতো, এমনকি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাতেও ফার্স্ট হতো।)
টেরেন্স পিনেরো
আমাদের সময়ে টেরেন্স পিনেরো স্যার ‘স্টুডেন্ট’স অ্যাডভাইজর’ বা ‘স্টুডেন্ট’স ওয়েলফেয়ার টিচার’ নামক কোনো একটা পজিশনে ছিলেন। অর্থাৎ তাঁর কাজ ছিল, ছাত্ররা কোনো কারণে বিপথগামী হলে তাদেরকে বুঝানো বা কাউন্সেলিং করা। কিন্তু শুনতে পেয়েছিলাম যে, কীসের কাউন্সেলিং আর কীসের কী! তিনি নাকি ছাত্রদেরকে তার রুমে নিয়ে গিয়ে নিজের কোমরের বেল্ট খুলে তাদেরকে পেটাতেন। এটা তো ঠিক না। নটর ডেমে এমনিতেই কোমলমতি ছেলেরা ভর্তি হয়, তাদের সাথে এমন আচরণ করতে দেয়াটা কলেজ কর্তৃপক্ষের উচিত হয় নি। কোনো শিক্ষার্থী বিপথে গেলে বা ভুল করলে তার জন্য তো কাউন্সেলিং এর পথ খোলা আছে, তাই না? অযথা তাদের মনে চিরকালের জন্য দাগ বসিয়ে দেয়ার দরকার কী?
ঐ ডিউটির পাশাপাশি টেরেন্স স্যার ইংরেজিও পড়াতেন। পড়ানোর সময় ছাত্রদেরকে বুঝানোর চেয়ে চোখ রাঙ্গাতেন বেশি। যারা এটা দেখেছে, কেবল তারাই বুঝতে পারবে, কী বলতে চাচ্ছি। ক্লাসরুমে শিক্ষকের এ ধরনের আচরণ মোস্ট আনপ্রফেশনাল।
নিমাই চন্দ্র দাস
স্যার আমার কলেজ লাইফের পুরোটা সময় জুড়ে আমাদের সায়েন্স গ্রুপ ওয়ান এর ম্যাথ টিচার ছিলেন এবং তৎকালীন ম্যাথ ডিপার্টমেন্টের হেডও ছিলেন। স্যারের বিরুদ্ধে আমার একটা মাইনর অভিযোগ রয়েছে, সেটা হলো – তিনি লেকচার দেয়ার সময় মাইক্রোফোন ব্যবহার করতেন না। এতে তাঁর কথা বুঝতে সমস্যা হতো। নিয়মকানুন হলো নিয়মকানুন, এটা সবাইকেই মানতে হবে। কেউ এর বাইরে নয়, হোন তিনি যত বড় জিনিয়াস। নিমাই স্যারের এই মাইক্রোফোন ব্যবহার না করার অভ্যাসের দরুন ওনার দীর্ঘ ১৫-২০ বছর শিক্ষকতাকালীন সময়ে কত ছাত্রের সমস্যা হয়েছে, সেটা কি উনি ভেবে দেখেছেন?
কমার্সের জনৈক বাঙালী ‘ফাদার’ টিচার
এই তথাকথিত ফাদার কমার্সের কোনো একটা সাবজেক্ট পড়াতেন। তাঁকে তথাকথিত বলার কারণ ব্যাখ্যা করছি। আমার এক বন্ধু পাভেল একাডেমিকালি আমার চেয়ে ১ বছরের ছোট ছিল, সে নটর ডেমে কমার্সে ভতি হয়েছিল। সে আমার সাথে একটা ঘটনা শেয়ার করে, যেটা কোনোমতেই মিথ্যে নয়। তখনকার দিনে আমি ও আমার সেই বন্ধু রামপুরার কোনো একটা এলাকায় থাকতাম (একসাথে নয়, যে যার যার পিতা-মাতা, ভাই-বোনের সাথে)। আর ঐ ফাদার থাকতেন বনশ্রীতে খ্রিস্টানদের জন্য কী যেন একটা আশ্রম বা চার্চ আছে, সেখানে। তিনি একদিন পাভেলকে বললেন, তাঁর বাসায় বেড়াতে যেতে। পাভেল সেখানে গেল।
তারপর পাভেলকে পাশে বসিয়ে তার উরুতে হাত দিয়ে ঘষাঘষি শুরু করলেন, অর্থাৎ তিনি পাভেলের সাথে সমকামিতা করতে চাইলেন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, সব ফাদারই ফাদার না। এসব ফাদার, ব্রাদাররা নাকি সিস্টার আর মাদারদের সাথে অনেক আকাম-কুকামও করে, এমনটাই শুনেছি। খ্রিস্টান পাদ্রীদের এই অবিবাহিত থাকার বিষয়টি তাই আমার বেশি পছন্দ নয়। কারণ, অবিবাহিত থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা পবিত্র থাকতে পারে না।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কো-এডুকেশন চালু করা উচিত
আমি মনে করি, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিশু শ্রেণি থেকে কো-এডুকেশন চালু করা উচিত। কারণ মেয়েরাও মানুষ, তারা অস্পৃশ্য বা অচ্ছুত নয়, তাদের সাথে মিশতে জানতে হবে। নটর ডেম গ্র্যাজুয়েটদের তুলনায় শাহীন কলেজ বা ক্যামব্রিয়ান কলেজের গ্র্যাজুয়েট ছেলেরা মেয়েদের সাথে বেশি ইজিলি মিশতে পারে বলে আমার ধারণা।
এছাড়া নটর ডেম কলেজের উচিত, শিক্ষার্থীদেরকে ঢালাও সবকিছু না পড়িয়ে কিছুটা বেছে বেছে পড়ানো, যাতে তারা কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। বুঝতে হবে, এটা আধুনিক যুগ, কুপমন্ডুকতার যুগ নয়। আলীবাবা’র প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা কী কারণে বলেছেন, তাঁর সন্তানেরা মোটামুটি মানের গ্রেড পেলেই তিনি খুশি, খুব বেশি ভালো করার দরকার নেই – এটা নটর ডেম কলেজ কর্তৃপক্ষকে বুঝতে হবে। এটা বুঝতে হবে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সবাইকে। তবেই শিক্ষার্থীদের মুক্তি!