[এখানে যা কিছু লেখা হয়েছে, তা গত ১৭ এপ্রিল তারিখে লেখা। ঐ দিন ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রকাশিত ভিডিওটি দেখতে পারেন, এ আর্টিক্যাল পড়ার বিকল্প হিসেবে।]
(১) অন্ধবিশ্বাস ছিল, করোনা এদেশে আসবে না, আর আসলেও তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তাই প্রস্তুতি না নিয়ে তামাশা দেখতে থাকা। জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী মাসে সরকার করোনা সনাক্তকরণ কিট ও পিপিই হয় আমদানী করতে পারতো, নয়তো স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করার জন্য রিসার্চ করতে পারতো। এছাড়া আক্রান্ত রোগীদেরকে কোথায় কোয়ারেন্টাইন করবে সে বিষয়ে সরকার কোনো চিন্তাভাবনা করে নি এবং প্রস্তুতি নেয় নি। ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ খুবই হাস্যকর একটা টার্ম।
(২) মার্চের শুরু থেকেই চায়না, ইতালি, জার্মানী – এসব আক্রান্ত দেশগুলো থেকে ইনকামিং ফ্লাইটগুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত ছিল।
(৩) মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান ধুমধাম করে উদযাপন করার লক্ষ্যে শুরুতে করোনা আক্রান্তের ঘটনাগুলো চেপে গিয়েছিল সরকার (দেশের সকলে এমনটাই মনে করে)। এখনো সরকার আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ও অবস্থা জনগণের কাছে খোলসা করতে নিমরাজী। আওয়ামী সরকার সবক্ষেত্রে কেবল সফলতা ও উন্নয়ন দেখাতে চেয়েছে, ব্যর্থতা সবসময়ই ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেছে।
(৪) ‘লকডাউন’ অফিসিয়ালি ঘোষণা করে নি সরকার; লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে আসতে কয়েকদিন দেরি করে ফেলেছে।
(৫) গার্মেন্টস বা ফ্যাক্টরিগুলো চলবে নাকি চলবে না, সে বিষয়ে সরকার ও বিজিএমইএ সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা দেয় নি। তাই গার্মেন্টসকর্মীরা পঙ্গপালের মতো ঢাকামুখী হয়েছে, কোনো সামাজিক দূরত্বের বালাই না রেখে। এসব ঘটনায় করোনা কী পরিমাণ সংক্রমিত হয়েছে (অনলি গড নোওস)।
(৬) সরকারী কোন ঘোষণার ফলে জনগণের মাঝে কীরূপ প্রতিক্রিয়া হবে, সেটা মন্ত্রী, সচিবগণ এবং প্রশাসন যন্ত্র প্রেডিক্ট করতে পারে নি। এতগুলা ইন্টেলেকচুয়াল মিলে জনগণের পরবর্তী ‘মুভ’ বুঝতে বা আন্দাজ করতে পারছেন না, সেটা খুবই দুঃখজনক।
(৭) জনগণেরও ভুল আছে, তারা লকডাউনের সময়ও র্যান্ডম ঘোরাফেরা, আড্ডাবাজি বাদ দিতে পারে নি। পুলিশ তাদেরকে শাসন করতে গেলে তারা ‘প্রতিবাদমুখর’ হয়ে নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করেছে। (এসিল্যান্ড সায়মা ইসলামের মতো দু’-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটবেই)