একজন বাবা সবসময় চান তার সন্তান যেনো ভালো থাকে। তিনি সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করেন সন্তানকে খুশি রাখার। কিন্তু তাই বলে কবরের মধ্যে কেনো শোয়ান?
ওই ব্যক্তির নাম জিং লিইয়ং। তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন চীনের সিচ্যুয়ান প্রদেশে। তিনি দুই বছরের অসুস্থ মেয়েকে প্রতিদিন নিয়মভাবে সদ্য খোড়া একটি কবরের কাছে নিয়ে যান। সেখানে বাবা-মেয়ে দুইজনে কিছুক্ষণ সময় কাটান। অনেক সময় মেয়েকে নিয়ে খবরের মধ্যে শুয়েও থাকেন। এভাবে তিনি কিছু সময় থাকার পর আবার চলে আসেন।
জানা যায়, জিং লিইয়ং এর ছোট্ট মেয়েটি দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত। তার মেয়ে জিনলিয়ির চিকিৎসার জন্য তিনি তার আয়ের সব অর্থই ব্যয় করেছেন। এখন তাদের পিঠ ঠেকে গেছে দেওয়ালে। মেয়ের চিকিৎসার ব্যয় বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
তাই তিনি বাধ্য হয়েই একটি সিদ্ধান্ত নেন। জিং লিইয়ং এর ধারণা তিনি তার প্রাণের সন্তানকে এই পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন না। তার মেয়ে যাতে ভবিষ্যৎ জীবনকে অর্থ্যাৎ মৃত্যুর পরের জীবনকে ভয় না পায় কিংবা সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে সেজন্য তিনি তার মেয়েকে প্রতিদিন তারই খোড়া একটি ফাঁকা কবরের কাছে নিয়ে যান, এমন কি মাঝে কবরের মধ্যে শুইয়ে দেন!
জিং লিইয়ং বলেছেন, আমি অনেকের কাছে হাত পেতেছিলাম। অনেকেই দিয়েওছিলেন। তবে তারা আমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে আমরা চিকিৎসা খরচ চালাতে পারছি না। তাই আমরা আমাদের মেয়ের চিকিৎসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সংবাদ মাধ্যমকে জিং লিইয়ং আরও বলেছেন, এখন আমি এই কবরের কাছে মেয়েকে নিয়ে আসি। সে এখানে এসে খেলাধুলা করে। কারণ হলো এখানেই সে ভবিষ্যতে শান্তিতে বসবাস করবে!